Monday, August 3, 2020

হাবা গোবা

বাবা্র মৃত্যু শয্যায় প্রায় সপ্তাহ দশেক হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে আমি সার্বক্ষণিক ভাবে বাবার পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। সেই সময় বাবাকে দেখতে আসলেন এক ভদ্রলোক। বাবা খুব উচ্ছসিত ভাবে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, ওর সাথে যোগাযোগ রেখো, আমার সিলেটের লোক, একদিন বিশাল সাংবাদিক হবে। বিভিন্ন কারণে তাঁর সাথে তেমন যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
 
বাবার এই এক সমস্যা ছিল। জেলা গুলো তৈরী হবার এতোদিন পরেও সিলেট বিভাগের সব জেলার মানুষকেই তিনি আমার সিলেটের লোক বলতেন। সাংবাদিক ভদ্রলোকও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। পরবর্তিতে জেনেছিলাম, তিনি সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ। সেই সাংবাদিক এখন সত্যিই সাংবাদিকতায় প্রথম কাতারের একটি নাম। তাঁর একটি লেখা আজকের এক পত্রিকায় পড়ে খুব ভাল লাগলো। বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এক নক্ষত্র কমেডিয়ান, "হাবা হাসমত" কে নিয়ে সমসাময়িক একটি লেখা। 
 
পড়ার পর মনে হল, ওনার কথায় আমি একমত নই। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী, মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত "রাজাকার", "আলবদর", "আলশামস", শান্তিকমিটি" নামধারী চুড়ান্ত খলনায়ক গুলোকে মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধের ওপর রাচিত প্রায় সকল বাংলা সাহিত্যে কমেডিয়ান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয়ছে, এই সাহিত্যকর্ম গুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই সমস্ত ভয়ংকর চরিত্র গুলো সম্পর্কে ভুল বার্তা বয়ে নিয়ে যাবে। ঐ চরিত্র গুলো বাস্তবে কোন মতেই কমেডিয়ান চরিত্র ছিল না। দানব সাদৃশ্য ইয়াহিয়া খানের কার্টুনটির সাথে ইয়াহিয়ার এদেশীয় দোসর গুলোর চেহারাও একই রকমের ভয়ংকর ছিল।

আজকের উক্ত লেখার সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের সাথে দেশের একজন প্রথিতযশা কমেডিয়ানের তুলনা করে যদিও তিনি বর্তমানের মূল খলনায়ককে ("দের" শব্দটি ইচ্ছাকৃত ভাবে লেখলাম না, কারণ, উনি একজকে নিয়েই মূলত লিখেছেন, যদিও এখানেও আমার দ্বিমত রয়েছে) চিত্রিত করেছেন একজন বিশেষ "হারামজাদা" হিসেবে, তারপরও বলবো, এতে আমার দেশের একজন বিখ্যাত অভিনয় শিল্পীকে খাটো করা হয়েছে। আমার জানা মতে বর্তমানের এই খলনায়কের তিন গুষ্ঠি অন্তত দেশ বিরোধী, মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত অথবা জড়িত ছিলেন, এদের কমেডিয়ান ভাববার কোন অবকাশ নেই, এদের কথা শুনলেও আজকাল অন্তত আমার তাদেরকে ফাঁসিতে লটকাতে ইচ্ছে করে।

বর্তমানে কমেডিয়ান হিসেবে যদি কাউকে চিত্রিত করতেই হয় তবে বিরোধী দলীয় দু'য়েকজন নেতার প্রসঙ্গে করা ভাল। ওহ, সমস্যা তো এখানেও আছে। দেশে বর্তমানে বিরোধী দল তো দুটো, একটি সত্যিকারের বিরোধী দল, আরেকটি তথাকথিত বিরোধী দল। যাইহোক, তথাকথিত বিরোধী দলের এক নেতা প্রায় প্রতিদিনই হাসির খোড়াক জাগানিয়া কথা বলেন। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, গতকালও তিনি সেরকম একটা কথাই বলেছেন। এই ভদ্রলোক যেমন মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা বুঝতে চান না, ঠিক তেমনি দেশের চলমান মহামারী এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথাও বুঝতে চান না।
 
অবশ্য দেশ ও জাতির দুঃসময়ে দেশবাসীকে কিছুটা কমেডি রিলিফ দেবার জন্য সকল দলেই এরকম কিছু প্রথিতযশা হাবা হাসমতের সাথে তুলনীয় কমেডিয়ান আছেন।

এতোটাই কি অসহায়???

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে দেশে হৈচৈ চলছে, সকলের মত আমিও গা ভাসিয়ে দিয়েছিলাম ঐ গড্ডালিকাপ্রবাহে। কিন্ত আমার নিজস্ব একান্ত ব্যক্তিগত এক সমস্যার কারণে অন্যান্য খাতেও যা চলছে সেটার কিছু অংশ দৃষ্টিসীমায় চলে আসলো। ব্যক্তিগত সমস্যা সবার সাথে একটু ভাগ করে নিজের মনের বোঝা কিছুটা লাঘবের চেষ্টায় ভাবলাম দু'য়েকটা কথা বলেই ফেলি।

 

আগেই একবার বলেছি, শিক্ষা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের দায়ীত্বের মাঝে পরে। আমাদের মত গরীব দেশ শুধু নয়, বিশ্বের প্রায় সকল গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে শিক্ষাকে সার্বজনীন করে তোলা সম্ভব হ'য়ে ওঠেনা বলেই এই খাতে শক্তিশালী প্রাইভেট সেক্টর গড়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশের মত বিশ্বের আর কোন দেশে অন্তত স্কুল লেভেলে প্রাইভেট শিক্ষা কার্যক্রমকে এভাবে বানিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমার দেশে এসে, বিশেষ করে, বেশীর ভাগ প্রাইভেট স্কুল গুলোর যথেচ্ছাচার এবং অতি-বানিজ্যিকীকরণের যেন কোন জবাবদিহিতা নেই। কোন নাম উল্লেখ না ক'রে আমি শুধু একটি প্রাইভেট স্কুলের উদাহরণ টেনে আনছি এখানে, অন্যান্যদের কি অবস্থা আমার জানা নেই। আমি যা বলছি তার অনেক কিছুই মিডিয়াতে প্রমান সহ এসেছে, তারপরও মনে হয় না তাদের কোন বোধদয় হয়েছে কিংবা দেশে এদের যথেচ্ছাচারের ওপর খবরদারী করার মত কেউ আছে। সত্যিই যদি কেউ না থেকে থাকে তবে সেটাও সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা উচিৎ, তাহলে অন্তত আমি ব্যক্তিগত অসহায়ত্ববোধ থেকে মুক্তি পাবো।

 

দেশে মহামারী চলছে, বিগত প্রায় পাঁচ মাস কোন স্কুলে কোন ক্লাস চলছে না। এর মাঝে উক্ত স্কুলটি তাদের স্টাফ ছাটাই করেছে। এই প্রায় পাঁচ মাস সময়ে লোক দেখানো ফ্রি জুম এপ্লিকেশন ব্যবহার করে নামে মাত্র অনলাইন ক্লাস করিয়েছে সর্বোচ্চ দিন দশেক। কিন্ত তারা রি-এডমিশন ফি'য়ের নামে বিগত বছরের চাইতে এবছরে প্রায় দ্বিগুন ফি দাবী করেছে। প্রতি বছর তারা ১০% হারে টিউওশন ফি বাড়িয়ে থাকে, যদিও বর্তমানে তাদের টিউশন ফি দেশের বহু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ে বেশী। দেশের বর্তমান দুর্যোগকালীন সময়েও সেটার কোন ব্যতিক্রম চোখে পরছে না। অথচ, যতটুকু মনে পরে, বিগত ২০১৮-১৯ সালে তাদের নিজেদের অডিট রিপোর্টে নীট মুনাফা ৩২কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। 

 

তাদের লাভের অংক দেখে আমি পরশ্রীকাতরতায় ভুগছি বিষয়টি এতো সরলীকরণ করলে দু:খ পাবো। তারা শিক্ষাকে বানিজ্যিকীকরণ করে বিশাল মুনাফা করছে এবং আমরা নিরুপায় ভাবে তাদের সহযোগীতা করছি, কিন্ত এই স্কুলের মালিক স্বপরিবারে বিদেশের মাটিতে বসবাস করেন এবং বছরের নয় মাস বিদেশেই থাকেন। তিনি সেখানে বসে মানি লন্ডারিং করছেন কিনা সেটাও আমার দেখবার বিষয় না কিন্ত রাষ্ট্রের কারও না কারও তো বিষয় গুলোর লাগাম টেনে ধরবার অথবা অন্তত তদারকি করবার কথা। সেই দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি কোনটা সেটাও আমি বুঝতে পারছি না বিধায় আমাকে অসহায়ত্ববোধ ঘিরে ধরছে। 


এটা তো গেলো একটা খাতের কথা। আরেকটি খাতের কালো অধ্যায় গতকাল আমার চোখে পরলো। একটি সরকারী মন্ত্রনালয়ের কোন একটি দফতরের ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুম মিটিং কর্মশালার বিশাল খরচ দেখে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। ঐ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আবার নাস্তা এবং স্টেশনারী বাবদ খরচও দেখানো আছে। বাসায় বাসায় আশাকরি তাদের নাস্তা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সরকারী টাকা মানে জনগনের টাকা মনে করার মত ভ্রান্ত পথিক এখন আমি আর নই, কিন্ত অবাক লেগেছে, একই বিষয়ে আরেকটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট দেখে। সেখানে উক্ত মমন্ত্রনালয়ের দায়ীত্বশীল একজন, এই কোটি টাকার উপরের খরচকে বৈধতা দেবার চেষ্টায় বলেছেন, উক্ত বিল পূর্বেই প্রস্তুত করা ছিল, তারপরও উনি যাচাই করে দেখবেন। কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হয়ে গেল আর উনি বলছেন, দেখবেন। কবে?? 

 

এই বিষয়ে আমার বেশী কিছু বলাটা অভদ্রতার পর্যায়ে পরতে পারে ধরে নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ আছে তারা কষ্ট করে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টটি স্ক্রীনশট সংযুক্ত করলা পড়ে নেবেন। দূর্নীতির যে সার্বজনীন অবস্থা দেখছি সেটাতে মনে হয় না খুব সহসাই এটাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা যাবে, কিন্ত একটা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে যদি আমরা এগিয়ে না যাই তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো দেশের ছাল-বাকলও খুঁজে পাবে না, দূর্নীতিবাজে সব উপড়ে নিয়ে যাবে।


ল“ছাগু" গ“ছাগু" ও "সরল" অংক

বিদ্যালয় জীবনে প্রথম যখন লসাগু-গসাগু বুঝিবার চেষ্টা করিলাম, সেই সময় মনের ওপর কেমন যেন একটি বিষাদ আসিয়া ভর করিয়াছিল। আর সরল অংক তো সবসময়ই বাঁকা, ব্যাটার উত্তর একেকবার একেক রকম হইবেই। তখন হইতে "সরল" শব্দটির প্রকৃত অর্থই আমার নিকট উল্টাইয়া গিয়াছে এবং শব্দটি কোথায়ও দেখিলেই মনের মাঝারে এক ধরনের আকুলিবিকুলি অনুভূতির উদ্ভব হয়; মনে হয়, কোথাও না কোথায়ও প্যাঁচ আছেই। আমার মতই বাংলার মানুষের মনও এই সরল অংকের ধাক্কায় মনে হইতেছে বাঁকা হইয়া গিয়াছে এবং কতটা যে বাঁকিয়া গিয়াছে তাহা একটি খবর না পড়িলে কিছুতেই বুঝিতে পারা যাইবেনা। বেশী কথা না বাড়াইয়া খবরটির স্ক্রিনশট সংযুক্ত করিয়া দিলাম।

 

সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য "সরল বিশ্বাস" নামে একটি প্রায় অনুচ্চারিত ইন্ডিমনিটি ধারা বিভিন যায়গায় স্বীকৃত। ঊপরে উল্লেখিত খবরটিতে "জেকেজি" এবং "রিজেন্ট" যজ্ঞে সেই ধারাটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের তিনজন কর্মকর্তা প্রয়োগ করিয়া, আমার মত সরল অংকের চাপে পরিয়া বাঁকাইয়া যাওয়া মনের অধিকারীদের বুঝাইয়া দিলেন, তাহাদের কোন দোষ নাই, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা "সরল বিশ্বাস" লইয়া তাহাদের অনুমতি দিয়া এখন বেকায়দায় পরিয়াছেন, প্রতারিত হইয়াছেন। আবশ্য যেই দুইটি কথা তাহারা তাহাদের বক্তব্যে উহ্য রাখিয়াছেন বলিয়া প্রতীয়মাণ হইতেছে, তাহা আর কিছুই নহে, 


১) রিজেন্টের মালিক যে বহু পুরানো পাপী, একজন চিহ্নিত প্রতারক তাহা দেখিবার দায়িত্ব তো আর তাহাদের নহে। 

২) তাহাদের "সরল বিশ্বাস"কে বাঁকা মনের বাংলার মানুষ তির্যক দৃষ্টিতে দেখিতেছে বলিয়া (হয়তো) তাহাদের মনে হইয়াছে, যেই কারণে আইনের প্রায় অনুচ্চারিত একটি ধারার প্রকাশ্য অবতারনা করিতে হইলো।

 

খবরটির সহিত সংযুক্ত ছবিটি দেখিয়া, যাহারা ছবি লইয়া গবেষণা করিয়া থাকেন তাহাদের বহুল ব্যবহৃত একটি বচন মনে পরিয়া গেল। তাহারা বলিয়া থাকেন, কথার চাহিতেও ছবি নাকি অনেক বেশী শক্তিশালী। আমি আবার অতশত বুঝি না। "সরল বিশ্বাস" নাকি অন্য কিছু ছিল এইখানে, তাহা হয়তো আর খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না, মাঝখানে কোরবানি হইলো দেশের মানুষ, ভুলন্ঠিত হইল দেশের ভাবমূর্তি, সরকারি টাকার অপচয় তো আছেই, শেষ পর্যন্ত দায় আসিয়া পরিবে হয়তো রাজনীতির ঘাড়ে; বাকি সবই "সরল বিশ্বাস"। 

 

শেক্সপিয়ারের এক অমর বাণীর কথা মনে পরিয়া গেল,

"Hell is empty. All the devils are here". 


তাঁহার মত বিশাল মানুষের মুখনিঃসৃত এই বাণীর মর্মার্থ আগেও বুঝিতাম না, এখনও বুঝিতে পারি না এবং ইহাও বুঝিয়াছে যে, এই সময়ে ইহা লইয়া চিন্তা করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণও নাই। তবে শেক্সপিয়ার যদি বর্তমানের আলোচ্য ঘটনায় এই বাণী ঝাড়িতেন তাহা হইলে তিনি নরকের কীট বলিতে আমার মত সরল অংকের চাপে পরিয়া বাঁকাইয়া যাওয়া মনের অধিকারীদের বুঝাইতেন, নাকি তথাকথিত সরল বিশ্বাসীদের বুঝাইতেন তাহা লইয়া আমি কিছুটা চিন্তিত বইকি। 

 

এই প্রজন্মের সন্তানেরা তো আবার ডুগডুগি চিনিবে না। তাহা না হইলে বর্তমান প্রজন্মকে এক্ষণে ডুগডুগি বানাইবার জন্য উৎসাহ দিতাম। ডুগডুগির ক্রেতা খুঁজিয়া না পাইলেও অন্তত নিজেরা বাজাইয়া মনের ঝাল মিটাইতে তো পারিতাম।

 

বিঃদ্রঃ- ডুগডুগি কি তাহা বুঝাইয়া বলাটা বিশেষ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে হইলো। ইহা কাঠের খোলের উপর ছাগলের চামড়া দিয়া মোড়াইয়া নির্মিত এক ধরনের ছোট্ট বাদ্যযন্ত্র। 

 

তবে আলোচ্য বিষয়ের মাঝে ছাগল শব্দটি না থাকিবার কারণে আমার শব্দচয়ন আমারই বুঝিতে অসুবিধা হইতেছে। এইখানে ছাগল বলিতে কাহাকে বুঝানো যাইতে পারে? সরল বিশ্বাসের মানুষেরা? বহু ভাবিয়া অবশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, ছাগল যাহাকেই বুঝাইয়া থাকি না কেন, বাংলার মানুষকে যদি কেহ ছাগল ভাবিয়া থাকে তাহা হইলে তাহাদেরকে আরেকবার বিদ্যালয়ে পাঠাইয়া লছাগু ও গছাগু অধ্যয়নে মননিবেশ করিবার সুযোগ করিয়া দেওয়া আমাদের বিশেষ কর্তব্য।


হাবা গোবা

বাবা্র মৃত্যু শয্যায় প্রায় সপ্তাহ দশেক হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে আমি সার্বক্ষণিক ভাবে বাবার পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। সেই সময় বাবাকে দেখতে আসল...